১১ দফা আন্দোলন

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা - সামরিক শাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন (১৯৫৮ - ১৯৬৯) | NCTB BOOK
4.5k
Summary

১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তার হলে আন্দোলনের গতি কিছুটা কমে যায়, তবে ছাত্ররা নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং পণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
১৯৬৯ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ডাকসু কার্যালয়ে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ডাকসুর যৌথ উদ্যোগে 'সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন তোফায়েল আহমেদ।
এ পরিষদ ১১ দফা দাবি নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দেয়, যা ছাত্র এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আন্দোলন উজ্জীবিত করে। ১১ দফা দাবির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো ছিল:

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স বাতিল
  • শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি
  • বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
  • বৃহৎ শিল্পের জাতীয়করণ
  • শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি প্রদান
  • ট্রেড ইউনিয়ন গঠন
  • বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
  • জরুরি আইন ও অন্যান্য নির্যাতনমূলক আইন প্রত্যাহার
  • নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ
  • হাজতে নিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি

১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। এ সময়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারারুদ্ধ হলে আন্দোলনের গতি কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ছাত্ররা আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করে, যা পণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ১৯৬৯ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া ও মেনন গ্রুপ) এবং ডাকসুর যৌথ উদ্যোগে ডাকসুর তৎকালীন সহসভাপতি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে 'সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করা হয় ।

এ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা দাবি নিয়ে গণঅভ্যূত্থানের ডাক দেয় । এ কর্মসূচি শুধু ছাত্রদের নয়, আপামর জনগণের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। ১১ দফা দাবির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা অন্তর্ভুক্ত ছিল । এর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দাবির মধ্যে ছিল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কুখ্যাত অর্ডিন্যান্স বাতিলসহ শিক্ষার সুযোগ- সুবিধা বৃদ্ধি, বাক-স্বাধীনতা, ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বৃহৎ শিল্পের জাতীয়করণ, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি প্রদান, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, জরুরি আইন, নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য নির্যাতনমূলক আইন প্রত্যাহার, নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ইত্যাদি ।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...